মোখলেছুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কলতাপাড়া, শ্যামগঞ্জ, শাহগঞ্জ, রামগোপালপুর ও বোকাইনগর আঞ্চলিক সড়কে ঝড়ে ও সড়ক দুর্ঘটনায় কৃষকের জমিতে পড়ে আছে অর্ধশত নানা প্রজাতির মৃত গাছ।
এসব মৃত গাছের কারণে জমি চাষাবাদ ও ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি গাছ কাটলে কৃষকের নামে দেয়া হয় হয়রানিমূলক মামলা এবং নেমে আসে নানা আইনি জটিলতা।
তাই কৃষকরা বলছেন- এসব মৃত গাছ ‘থাকলে আপদ, কাটলে বিপদ।’ এসব সড়কের সংস্কার ও মেরামত করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
সরেজমিন গৌরীপুর উপজেলা সদর থেকে কলতাপাড়া ৬ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে ৯টি গাছ কৃষকের জমিনে পড়ে রয়েছে। বাসাবাড়ি ও দোকানের সামনে মৃত ৭টি গাছ পরিবেশ বিনষ্ট করছে। গৌরীপুর-শাহগঞ্জ সড়কে মৃত ৫টি গাছ রয়েছে।
গৌরীপুর-শ্যামগঞ্জ সড়কে মৃতগাছের সংখ্যা ১৭টি। গৌরীপুর-বোকাইনগর সড়কে ৩টি ও রামগোপালপুর সড়কে রয়েছে ১২টি মৃত গাছ। এছাড়াও গৌরীপুর-কলতাপাড়া সড়কে পাকা সড়ক ঘেঁষে ৯টি ও তাঁতকুড়া বাজারে বিপজ্জনক অবস্থায় সড়কে রয়েছে ২টি গাছ।
ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মো. মিরাজ উদ্দিন জানান, কোনো কোনো গাছ ৬-৭ বছর ধরে পড়ে আছে।
ভুক্তভোগী কৃষকরা জানান, বোরো ও আমন মৌসুমে গাছের চারপাশে অনেকটা ফাঁকা রেখে মেশিনে চাষাবাদ করতে হয়। এই ফাঁকা জায়গা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে ধানের চারা রোপণ অত্যন্ত কষ্টকর।
তাঁতকুড়া গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, গাছগুলো স্পর্শ করলেই বিপদ, সরালেও বিপদ। সমস্যা হচ্ছে আমাদের। অথচ আমরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।
এ প্রসঙ্গে ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল হক সরকার জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙা ও হেলে পড়া গাছের কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। কৃষকরাও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আবু সালেহ মো. ওয়াহেদুল হক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই গাছ কাটা বা কৃষকের জমি থেকে সরানোর উদ্যোগ নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ জানান, এসব গাছ কাটার উদ্যোগটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেয়া উচিত। কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।